মো: খালেকুজ্জামান অনিক
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার গোবিন্দপুর, ডাটিকারা ও লক্ষ্মীপুর গ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে
সামাজিক সংগঠন অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন। গত ১৫ই মার্চ, ২০২৪ইং রোজঃ শুক্রবার অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাপতি শাহিন হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জনি পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও মুনাজাত এর মাধ্যমে ইফতার সামগ্রী বিতরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, ঐতিহ্যবাহী মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদের খতিব জনাব মাওলানা শহিদুল্লাহ সাহেব উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য মসজিদের ইমাম ও খতিব সাহেবগণ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর কার্যনির্বাহী উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য জনাব রবিউল ইসলাম রবি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শাখার সভাপতি মোঃ লোকমান প্রধান, ইউরোপ শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি বাকি বিল্লাহ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির, সহ-সভাপতি সুজন প্রধান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন পাটোয়ারী, ফাহাদ হাসান, অর্থ সম্পাদক পারভেজ মারুফ, দপ্তর সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মামুন, ক্রিড়া পরিচালক শিমুল প্রধান, সহ অর্থ সম্পাদক জিসান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। মাগরীব নামাজ এর পর ইফতার সামগ্রী প্যাকেজিং সম্পন্ন করে সুবিধাবঞ্চিত, নিম্নআয়ের পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতের আধাঁরে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেন অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সেচ্ছাসেবীরা। প্রসঙ্গত মহিমান্বিত রমজানকে স্বাগত জানিয়ে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ১৫ই মার্চ, ২০২৪ইং রোজঃ শুক্রবার বাদ আছর ফাউন্ডশেনের সভাপতি শাহিন হোসেনের নেতৃত্বে গ্রামের বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও ইমাম সহ সর্বস্তরের মুসলমানদের অংশগ্রহণে পূর্ব সাড়পার ব্রিজ থেকে কালিকাপুর মোড় পর্যন্ত র্যালির আয়োজন করা হয়।বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ, খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগ- বারডেম ও ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন রোগ ও অবস্থায় খাদ্য পরামর্শ বইটি। জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান স্যারের নেতৃত্বে বইটির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ডা. বিশ্বজিত ভৌমিক এবং পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার মহুয়া। এছাড়াও ৩০ জনের বিশাল একটি টিম এই বইটির পেছনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। সবার অসাধারণ এই প্রচেষ্টার কারনেই প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন রোগ ও অবস্থায় খাদ্য পরামর্শ বইটি।
একটি বইতেই থাকছে সবকিছু। আপনি যদি হৃদরোগ, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, উচ্চ রক্তচাপ সহ যে কোন ধরণের রোগে ভুগে থাকেন, বইটি পড়লেই আপনি বুঝে ফেলতে পারবেন কোন অবস্থায় আপনার কি কি খাওয়া উচিত। বইটির সবচাইতে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো কি কি খাওয়া উচিতের ঠিক পাশেই আপনি জানতে পারবেন কি কি খাওয়া উচিত না এবং পাঠকের সুবিধার্থে লিখার পাশাপাশি ছবির মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করে বইটিকে করা হয়েছে আরো আকর্ষনীয় । তাই এই বইটি আপনার বিভিন্ন রোগ ও অবস্থায় খাবার নির্বাচন করতে এক অসামান্য ভূমিকা পালন করবে।
সকল রোগীদের কথা মাথায় রেখে বইটির বিক্রি নিয়েও অভিনব চিন্তা করেছেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সদস্যরা। অসাধারণ এই বইটি আপনি পেয়ে যাবেন দেশব্যাপী বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং বাডাস স্বীকৃত সকল সেন্টারে।
এর বাইরেও দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বইটি পেতে আপনি ভিজিট করতে পারেন বইফেরী ডট কম। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই কথাটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু মানি কয়জন? আমাদের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে দরকার সুষম খাবার এবং পরিমিত খাবারের তালিকা। এই বইটিতে যেভাবে সুন্দর করে খাবার তালিকা এবং সবকিছু গুছিয়ে লেখা হয়েছে বইটির সাথে সম্পৃক্ত সবার দৃঢ় বিশ্বাস এই বইটি সকল বয়সের সকল পেশার মানুষের জীবনে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, অপহরন ও হত্যাসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতোমধ্যে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন দক্ষিণ মেদেনী মন্ডল এলাকায় বসবাসকারী মোঃ মোস্তফা মাদবর @মোস্তফা (১৮), পিতা-মোঃ আব্দুল হক মাদবর নামক একজন ইজিবাইক চালক সে ইজিবাইক চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ০১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিকাল আনুমানকি ১৭:০০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় সে ইজিবাইক নিয়ে যাত্রী পরিবহন করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে মেদেনী মন্ডল (মিস্ত্রিপাড়া) এলাকার জনৈক সালেকের অটো গ্যারেজের উদ্দেশ্যে রওনা করে। প্রতিদিনের ন্যায় মোস্তফা আনুমানিক রাত ০৯:৩০ ঘটিকা হতে ১০:৩০ ঘটিকার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও ঐদিন রাতে সে বাসায় না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অতঃপর গ্যারেজ মালিকের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে যে, মোস্তফা ঐদিন আনুমানিক সন্ধ্যা ১৮:০০ ঘটিকায় ইজিবাইক নিয়ে যাত্রী পরিবহন করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরদিন ০২ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০:০০ ঘটিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে জানতে পারে যে, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন হলদিয়া এলাকার একটি ডোবা জমির পাশে ভিটির ঢালে পানির মধ্যে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। পরবর্তীতে মোস্তফার বাবা ও তার আত্মীয়স্বজন উল্লেখিত এলাকায় গিয়ে লাশটি মোস্তফার লাশ বলে শনাক্ত করে। অতঃপর ভিকটিম মোস্তফার বাবা স্থানীয় লোজনের সাহায্যে লৌহজং থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ লাশ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
৩। উক্ত ঘটনার পর মৃতের বাবা মোঃ আব্দুল হক মাদবর (৫০) তার পরিবারের সাথে পরামর্শ করতঃ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর-০১, তাং-০২/১০/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৯৪/২০১/৩৪ দÐ বিধি। ইতোমধ্যে হত্যাকাÐের ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
৪। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যাকাÐের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাÐে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৫ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬:০৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-৮ এর সহযোগীতায় বরিশাল জেলার গৌরনদী থানাধীন গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস ইজিবাইক চালক মোস্তফা হত্যাকাÐের মূলহোতা মিরাজুল ইসলাম (২৮), পিতা-মৃত জয়নাল হাওলাদার, সাং-দক্ষিণ শাতলা, থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল, বর্তমান ঠিকানা- সাং-হলদিয়া তিন দোকান, থানা-লৌহজং, জেলা-মুন্সিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। অতঃপর
গ্রেফতারকৃত মিরাজুল এর দেয়া তথ্যমতে অদ্য ০৬ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক মাঝ রাত ০১:১৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা উত্তর থানাধীন মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকাÐের সাথে সরাসরি জড়িত অপর দুই আসামি ১। স্বপন ফরাজী (২৮), পিতা-মোঃ মোতালেব ফরাজি, সাং-দক্ষিণ মেদিনীমন্ডল, থানা-পদ্মা উত্তর থানা, জেলা-মুন্সিগঞ্জ ও ২। পাপ্পু সরদার (২৪), পিতা-নুরুল ইসলাম মনু, সাং-উত্তর পাকশিয়া, থানা-শ্রীনগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ’দের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত মিরাজ উক্ত হত্যাকাÐের মূল পরিকল্পনাকারী। সে তার অন্যতম সহযোগী স্বপন ও পাপ্পুকে নিয়ে মোস্তফাকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক গত ০১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ১৯:০০ ঘটিকায় মিরাজ, স্বপন ও পাপ্পু মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা উত্তর থানাধীন মাওয়া চৌরাস্তা এলাকা হতে ভিকটিম মোস্তফাকে মিরাজের ভাড়া বাসায় যাওয়ার কথা বলে মোস্তফার ইজিবাইকটি ভাড়া করে মিরাজের ভাড়া বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরবর্তীতে আনুমানিক ১৯:২৫ হতে ১৯:৪৫ ঘটিকায় তাদের পূর্বপরিকল্পিত সুবিধাজনক স্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানাধীন হলদিয়া এলাকায় পৌছালে মিরাজ মোস্তফাকে ইজিবাইক থেকে নামতে বলে। অতঃপর মোস্তফা ইজিবাইক থেকে নামার সাথে সাথে স্বপন মোস্তফার গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরলে মোস্তফা মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। মোস্তফা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সাথে সাথে পাপ্পু মোস্তফার দুই পা চেপে ধরে এবং মিরাজ মোস্তফার মুখ মাটির সাথে চেপে ধরে যাতে করে মোস্তফা কোন ডাক-চিৎকার করতে না পারে। ভিকটিম মোস্তফার মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মিরাজ, স্বপন ও পাপ্পু মিলে মোস্তফার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের পাশে একটি ডোবায় ফেলে রেখে মোস্তফার ইজিবাইকটি নিয়ে দ্রæত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
৬। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা ইজিবাইক/অটো-রিকশা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় ভাড়ায় ইজিবাইক চালিয়ে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন অপকর্ম করতো। ইজিবাইক ছাড়াও বিভিন্ন পানির মোটর, গাড়ির ব্যাটারি, গরু ইত্যাদি চুরি এবং মাদক সেবন ও জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অপকর্র্মের সাথে জড়িত ছিল।
৭। এছাড়াও আসামি পাপ্পুর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানায় ০১টি ছিনতাই মামলা এবং আসামি মিরাজের বিরুদ্ধে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ০১টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
৮। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” ¯েøাগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন আমীরাবাগ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আনুমানিক ২,৮৭,৫০০/- (দুই লক্ষ সাতাশি হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ৫৭৫ (পাঁচশত পচাঁত্তর) পিস নেশাজাতীয় বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম মোঃ বোরহান উদ্দিন (৩৯), পিতা-মৃত আরশেদ আলী, সাং-বইগ্রাম, দক্ষিণপাড়া, থানা-হাকিমপুর, জেলা-দিনাজপুর বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সাধারণত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক হিসেবে শরীরে প্রয়োগ করায়। তবে বর্তমানে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ নেশাদ্রব্য উপাদান মিশিয়ে মাদক হিসেবে এটি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন সরাসরি ভেইনে নেয়া হয়। এই ভয়াবহ বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনটি নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীর শরীরে নেশার প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে প্যাথেডিন এবং হেরোইন নিয়েও যাদের কাজ হয় না, তারা এই ভয়াবহ মাদকটি ব্যবহার করে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরনসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিকালে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন মুসলিম নগর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফরিদপুর জেলার সালথা থানার মামলা নং- ৮০/২২, ধারা- ১৪৭/১৪৮/ ১৪৯/ ৩৪১/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩০২/ ২০১/ ৫০৬/১১৪/৩৪ দÐবিধি, ৬৬/২২, ধারা-দ্রæত বিচার আইন ৪/৫, ১২৫/২১, ধারা- ১৪৩/ ১৮৬/ ৩৩২/ ৩৫৩/ ৩০৭/ ১১৪/৩৪ দÐবিধি, ৭৯/২২, ধারা- ১৪৭/১৪৮/১৪৯/১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৩০৭/১১৪ দÐবিধি ও ৭৯/২২, ধারা- ১৪৭/ ১৪৮/ ১৪৯/ ১৮৬/ ৩৩২/ ৩৫৩/ ৩০৭/১১৪ দÐবিধি। উল্লেখিত হত্যাসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি মোঃ সালাম মুন্সি,(৬০) পিতা- মৃত জলিল মুন্সি ,সাং-বড় খাড়দিয়া, থানা-সালথা, জেলা- ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উপরোক্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপন করে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মো: খালেকুজ্জামান অনিক
অনেকদিন পর কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সর্বস্তরের জনগণের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে"
আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি -একনেকের বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেরানীগঞ্জের ৫টি রাস্তা পাস হয়।
মো:খালেকুজ্জামান অনিক
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এরই মধ্যে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে।
অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছে। জরুরি অবস্থায় অক্সিজেন সংকটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়ছে অনেক রোগী। এই অবস্থায় ‘'যেখানেই মানবিক সমস্যা, সেখানেই আমরা'’এই স্লোগানকে সামনে রেখে করোনা মহামারিতে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পৌরসভার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজহিতৈষী মিঞা মামুন এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মাসুদ হাজীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে একই পৌরসভার দু’টি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবা সংগঠন যথাক্রমে "অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন" ও "লোটাস-বাড চ্যারিটি ফোরাম" -এর যৌথ উদ্যোগে ‘নারায়ণপুর অক্সিজেন ব্যাংক’ নামে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম চালু হয়েছে।
মোবাইলে ফোন পেয়ে উপজেলার সর্বত্র ফ্রি অক্সিজেন সেবা দিতে ছুটছেন তারা । অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে রোগীর বাড়িতে। তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে রোগীর স্বজন ও সাধারণ মানুষের । উপজেলায় বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দেয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
প্রাথমিক পর্যায়ে ৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে এই কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে, বর্তমানে সিলিন্ডার সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে ১৬টি। এরই মধ্যে তারা ২০+ মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন সেবা দিয়ে সাহায্য করেছে।মানুষের দৌড়-গড়ায় এ সেবা পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছাসেবী টিম সর্বদা প্রস্তুত।
করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সিলিন্ডার। করোনাকালীন অক্সিজেনের এই তীব্র সংকটে এগিয়ে আসায় সংগঠনটি এরইমধ্যে মানুষের ভরসার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
করোনা মাহামারিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
◼️জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন-
সমন্বয়ঃ মিঞা মামুন- 01817028299
অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশন -01626928051
লোটাস-বাড চ্যারিটি ফোরাম-01312122133
ক্লোজআপ কাছে আসার অফলাইন গল্প - মেঘ এনেছি ভেজা : এক পশলা মিষ্টি মেঘে সিক্ত ভালবাসা দিবস রোমান্টিক গল্পের মূল উপাদান আবেগ – একটি স্বার্থক প্রেমের গল্প হবে আবেগে আর প্রেমের অনুভূতিতে টৈটম্বুর যা ছুঁয়ে যাবে প্রতিটি দর্শকের মন। মনে হবে ‘ইশ, যদি এমনটা আমার সাথেও হত!’ – এমনই একটি গল্প ছিল এবারের ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের ‘মেঘ এনেছি ভেজা’। মূল গল্পটি তরিকুল ইসলাম তপুর। আর মাত্র পঁচিশ মিনিটের ব্যপ্তিকালে এত চমৎকার ভাবে একটা পরিপূর্ণ প্রেমের গল্প তুলে ধরার রীতিমত অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন পরিচালক রুবায়েত মাহমুদ। সাথে ছিলেন সবার প্রিয় সাবিলা নূর এবং সিয়াম। নাটকটি দেখতে দেখতে বারবার মনে হয়েছে প্রেম তো এমনই হওয়া উচিৎ! একটি ফেসবুক ট্রাভেল গ্রুপের সাথে কানাডা প্রবাসী আবির বান্দরবানে যায় বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করতে, কিন্তু সেখানে গিয়ে সে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের পটভূমিতে আবিষ্কার করে পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর মেয়েটিকে। সব প্রেমের গল্প কিন্তু প্রায় একই রকম, একটি ছেলে আর একটি মেয়ে নিজেদের আবিষ্কার করবে পরস্পরের সবথেকে কাছের সঙ্গীরূপে, এতটা গভীর ভাবে পরস্পরকে অনুভব করবে যেমনটা আর কাউকে কখনও করেনি। তারপর পরিনতিতে গিয়ে হয় মিলন নয়তো বিরহ। এমন অজস্র গল্পের ভিড়ে মাঝেই কিছু কিছু গল্প একদম হৃদয়ের গভীরে নাড়া দেয়। এভাবেই হাজারো গল্পের মাঝে মনের পর্দায় বারবার ভেসে ওঠে কিছু বিশেষ ফ্রেম কিছু সংলাপ, যেগুলো মনের মাঝে গভীর অনুভূতির ছাপ ফেলে গেছে – যেগুলোকে ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে পরম যত্নে আর মমতায়... ‘মেঘ এনেছি ভেজা’ দেখতে দেখতে এমন ব্যাপার বেশ কয়েকবার চোখে পড়ে, শুভ্রার ভূবন ভোলানো হাসি অথবা পাহাড়ের বুকে সূর্যোদয়, অথবা ... ‘আমি তোমার সাথে সাত হাজার বার দেখা করতে চাই, আমি তোমার সাথে প্রতিটি সূর্যোদয় দেখতে চাই’ – সত্যিই, সাত হাজার বার না হলেও অন্তত সাতবার ‘মেঘ এনেছি ভেজা’ দেখাই যায়। আর কিছু না হলেও আবির ও শুভ্রার গল্প এবারের ভালবাসা দিবসকে এক পশলা মিষ্টি মেঘে সিক্ত করেছে নি:সন্দেহে।